টাইটানিক উদ্ধারে অভিযান নিয়ে নতুন বিতর্ক

আন্তর্জাতিক

ডুবন্ত টাইটানিককে ঘিরে ৩৫ বছর ধরেই অভিকিন্তু কোম্পানিটি এখন টাইটানিকের সেই বিখ্যাত রেডিওর যন্ত্রপাতি উদ্ধারের পরিকল্পনা নেওয়ায় পুরোনো বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর তা হলো- শতাধিক বছর আগে জাহাজ ডুবির সবচেয়ে বিশ্বখ্যাত এ ঘটনায় মারা যাওয়া যাত্রী ও নাবিকদের দেহাবশেষ এখনো কী সেখানে রয়েছে?

আদালতে চলমান বিতর্কে টাইটানিক উদ্ধারের পরিকল্পিত অভিযান আটকাতে এ প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকার পক্ষীয় আইনজীবীরা। প্রত্নতাত্ত্বিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁরা বলছেন, সেখানে এখনো দেহাবশেষ থাকতে পারে। তবে উদ্ধারকাজে যুক্ত সংস্থাটি তাদের পরিকল্পনায় এ সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেনি।

স্মিথসোনিয়ানের আমেরিকান ইতিহাসের জাতীয় জাদুঘরের সামুদ্রিক ইতিহাসের কিউরেটর পল জনস্টন বলেন, ‘ওই জাহাজডুবির ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। যেখানে জাহাজটি আছে সেখানে কোনো মানুষের দেহাবশেষ থাকার সম্ভাবনা নেই এমন কথা বলা যায় না।

আরএমএস টাইটানিক ইনকরপোরেশন নামের সংস্থা জাহাজটির মার্কনি ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ মেশিনটি প্রদর্শন করতে চায়। যেটি দিয়ে সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার সময় উদ্ধারের বার্তা পাঠানো হয়েছিল এবং পরে লাইফবোটে থাকা প্রায় ৭০০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

আরএমএস টাইটানিক ইনকরপোরেশন বলছে, প্রায় ২০০টি উদ্ধার অভিযান চালানোর পরও জাহাজটিতে মানুষের দেহাবশেষ থাকতে পারে।

টাইটানিক ঢুবে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থদের কীভাবে সম্মান করা উচিত এবং উদ্ধার অভিযানে তাদের কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে কি না, তা নিয়ে বৃহত্তর এ বিতর্ক শুরু হয়েছিল।

গত মে মাসে ভার্জিনিয়ার নরফোকের ফেডারেল বিচারক এ উদ্ধার অভিযানের অনুমতি দিয়েছিলেন।

এ উদ্যোগের ফলে ফেডারেল আইন লঙ্ঘিত হবে ও জাহাজডুবির ওই স্থানটিকে মেমরিয়াল স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে ব্রিটেনের সাথে থাকা চুক্তি ভঙ্গ হবে দাবি করে জুনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আইনি চ্যালেঞ্জ দায়ের করে।

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাটর্নিদের যুক্তি হলো- চুক্তি অনুসারে জাহাজটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে এর কাঠামো, নিদর্শন এবং ‘কোনো দেহাবশেষ’ যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়।যান চালানো হচ্ছে। কিন্তু কেউ কোনো মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে পায়নি বলে দাবি জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের মালিকানা থাকা কোম্পানির। খবর এপির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *