ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767404822
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
গাজা উপত্যকা—এক সময় যেখানে শিশুরা খেলতো, মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখতো, এখন তা যেন এক ভয়াবহ কবরস্থানে রূপ নিয়েছে। চলমান যুদ্ধ কেবল বোমা কিংবা গুলির শব্দে সীমাবদ্ধ নেই, বরং প্রতিটি নিঃশ্বাসে গুমরে ওঠে বাঁচার আকুতি, প্রতিটি চোখে ভেসে ওঠে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। জাতিসংঘ বলছে, গাজা আজ শিশুদের জন্য কেবল মৃত্যু আর অনাহারের আরেক নাম। শুক জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ গাজার পরিস্থিতিকে "নিষ্ঠুর ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের ফাঁদ" হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, গাজার মানুষ এমন এক দুঃসহ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে বেছে নেওয়ার মতো পথ মাত্র দুটি—ক্ষুধায় মারা যাওয়া অথবা গুলিতে প্রাণ হারানো। মানবিক সহায়তার বদলে তাদের দিকে ধেয়ে আসছে সহিংসতা ও নিঃস্বতা। এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি যে, ২৭ মে থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত শুধু খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রের আশেপাশেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৯৮ জন নিরপরাধ মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, এর মধ্যে ৬১৫ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে, আর ১৮৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন খাবারের খোঁজে যাওয়ার পথেই। একটি জাতির ক্ষুধার যন্ত্রণাকে যেভাবে রক্তাক্ত করা হচ্ছে, তা এক কথায় হৃদয়বিদারক। শুধু জীবিতদের উপর নয়, ইসরায়েলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ছড়িয়েছে মৃতদের গায়েও। ফিলিস্তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের তুর্কি কবরস্থানে হামলা চালিয়ে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে, গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আশপাশের কবর ও শরণার্থী শিবির। ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ইতোমধ্যেই দুই-তৃতীয়াংশ ধ্বংস করা হয়েছে। যেন মৃতরাও শান্তি পায় না এই নিষ্ঠুর যুদ্ধের করাল গ্রাস থেকে। এ যুদ্ধ আর যুদ্ধ নেই, এ যেন ধ্বংসের এক নিঃসীম অধ্যায়। গাজার প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে আছে আর্তনাদ, প্রতিটি ধুলোর কণায় লেগে আছে রক্ত, এবং প্রতিটি শিশুর চোখে ভেসে ওঠে একটি প্রশ্ন—“আমরা কবে মুক্তি পাবো এই আগ্রাসন থেকে?” /টিএ