ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767404822
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দ্রুতই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন ড. ইউনুস। তবে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান সমাধান না হওয়ার মধ্যেই এক দুঃসংবাদ দিলো জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, দেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। যা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশবাসীর। শুক্রবার (১১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে রয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম দমন-পীড়নের মুখে ইতিমধ্যেই সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখিয়ে আসছে। বর্তমানে কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যার মধ্যে দেড় লাখ গত দেড় বছরে যোগ হয়েছে। ফলে অঞ্চলটি এখন বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে।সংস্থাটির তথ্যমতে, নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করা শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যারা বর্তমানে জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়, এসব শরণার্থী পুরোপুরি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। নতুন আগমনকারীদের কারণে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ও আশ্রয়সহ মৌলিক পরিষেবায় চরম চাপ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যারা এখনো নিবন্ধনের আওতায় আসেনি, তাদের কাছে এসব সহায়তা পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক সংস্থা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশসহ আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং টেকসই সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত এবং স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এমি/এটিএন বাংলা