দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু টানেলের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু টানেলের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ

দেশজুড়ে
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দুটি টিউব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু টানেলের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেল খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর আগেই সব কাজ সম্পন্ন করতে চান সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে টানেলের দুই প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়কে চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ।
দুই টিউবের প্রান্তে দুই শহর, কিংবা এক নগরীর ভেতর দুই শহর। এই কথা ভাবলেই চীনের সাংহাইয়ের কথা কল্পলোকে ভেসে ওঠে। বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে একই রকম কল্পনা এখন আনোয়ারাবাসীর চোখে। টানেল ঘিরে দেখা স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি তাঁদের আশা, এখানে অর্থনীতির স্বর্ণযুগের সূচনা হবে আনোয়ারায়। টানেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বছরে এখান দিয়ে আনুমানিক ৬৩ লাখ যানবাহন চলাচল করবে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, আনোয়ারার কালা বিবির দিঘি থেকে কর্ণফুলীর শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে।

টানেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, টানেলের দুই প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে টানেল থেকে আনোয়ারার চাতরি চৌমুহনি বাজারের দক্ষিণ অংশ পর্যন্ত রয়েছে ৪ কিলোমিটার। এর সঙ্গে আছে ৭০০ মিটার ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার পর বর্তমানে অ্যাপ্রোচ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। চার লেনের অ্যাপ্রোচ সড়কটি ২২ দশমিক ৪০ মিটার চওড়া। সড়কের দুই-তিন স্তরের মেকাডমের কাজ শেষে মূল বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা।

দোহাজারী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারার কালা বিবির দিঘির মোড় পর্যন্ত ৮ দশমিক ১ কিলোমিটার সড়ক হবে ছয় লেন। এ ছাড়া কালা বিবির দিঘি থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের নির্মাণকাজও চলছে। এর জন্য বরাদ্দ টাকার মধ্যে মূল সড়কে ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১৩ কোটি টাকা বিবিধ ও ক্ষতিপূরণ খাতের ব্যয়।

সুমন সিংহ আরও বলেন, প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কের ৮ কিলোমিটারে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে চলছে ১৬টি কালভার্ট নির্মাণের কাজ। ফকিরনির হাট, বড়উঠান, চাতরি চৌমুহনি বাজার ও কালা বিবির দিঘির মোড়ে সাড়ে তিন হেক্টর পকেট লেন চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এর কাজ শেষের আশা করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে সংযোগ সড়কের ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের দুটি টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের ভেতর থেকে বোরিং মেশিনটা বের করতে সময় লাগবে চার মাস। এখন আনোয়ারা প্রান্তের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *