ইকুয়েডরের একটি কারাগারে দাঙ্গায় অন্তত ৬৮ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়াকিল শহরের লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারিতে এ ঘটনা ঘটে। কারাগারের ভেতরে বন্দুক ও বিস্ফোরক খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর সংঘর্ষে শতাধিক বন্দি নিহত হন। চলতি বছর এ পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ৩০০ বন্দির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো কারাগারে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই বিশৃঙ্খলা থেকে যারা লাভ খুঁজছেন তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে গত মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তার সরকার শুধু কারাগারেই নয়, ইকুয়েডরের মাদক পাচারকারীদের অঞ্চলেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে।’
মাদক পাচারের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আগের সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে মাদকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার মোকাবিলা করতে এক দশকেরও বেশি সময় লাগবে। অপরাধ চক্রের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় ইকুয়েডরকে তার সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশকে শক্তিশালী করতে প্রতিবেশী কলম্বিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ থেকে আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রয়োজন হবে।’
ইকুয়েডরের কারাগারে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৯ হাজার বেশি বন্দি থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লিটোরাল পেনিটেনশিয়ারিতে ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার ৩০০ হলেও সেখানে সাড়ে ৮ হাজার বন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।