আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের শোকের মাসের প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে অসহায়, খেটে খাওয়া ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়া আলোচনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পাশাপাশি মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শোকের মাসের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু আজীবন গণমানুষের রাজনীতি করেছেন, তাই শোকের এ মাসে সাহায্যসামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে তার আত্মা শান্তি পাবে— উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
গ্রামে-গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকে শহর থেকে ভাইরাস বহন করে গ্রামে নিয়ে যেতে পারেন এতে গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এমতাবস্থায় সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
এ অবস্থায় সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে নির্মাণকাজের কারণে সংকুচিত হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে বলে জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গগামী পণ্যবাহী যানবাহন আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল, চন্দ্রা হয়ে চলাচল করলে টঙ্গী-গাজীপুর অংশে যানবাহনের চাপ কমে যাবে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, হালকা বর্ষণ ও মহাসড়কে ধীর গতির জন্য এবং কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের কারণে কোথাও কোথাও চলাচলে ধীর গতি রয়েছে।
এমতাবস্থায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতার সঙ্গে পরিবহন ও মহাসড়ক ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানান মন্ত্রী।যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে— উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেক পরিবহন নিয়ম ও শর্ত মেনে চলছে না।
মন্ত্রী পরিবহন ও মালিকদের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নিয়ম মেনে যাত্রী পরিবহন করতে হবে, তা না হলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএ’কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।