ব্রিটিশ রাজ পরিবার ছেড়ে গত বছরের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা রাজ সিংহাসনের অন্যতম উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নবিষয়ক একটি সংস্থায় চাকরি নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কোচিং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ফার্ম ‘বেটারআপ’-এর চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার হিসেবে প্রিন্স হ্যারি চাকরি শুরু করতে যাচ্ছেন। এক বিবৃতিতে হ্যারি নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে মার্কিন টেলিভিশনে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ডিউক অব সাসেক্সের নতুন এই চাকরির খবর এলো।
‘বেটারআপ’ নামের সংস্থাটি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে। তিনি সংস্থাটির ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ হিসেবে কাজ করবেন। প্রিন্স হ্যারি নিজেই এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের।
মার্কিন সংস্থা বেটারআপের সদর দপ্তর সান ফ্রান্সিসকো শহরে। বিভিন্ন পেশাজীবীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক এবং আন্তরিক পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
বেটারআপের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সেই রবিশাক্স গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হ্যারিকে সরাসরি সংস্থার কোনো কর্মী বা সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সান ফ্যান্সিস্কোতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অফিসে বসবেন প্রিন্স হ্যারি। তবে তিনি সেখানে কতটা সময় দেবেন, কী পরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন এবং তার কাজ কী হবে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
বিবৃতিতে হ্যারি বলেছেন, তার নতুন কাজটি হলো মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা লোকদের জন্য একটি সহানুভূতিশীল সম্প্রদায় তৈরি করা; যেখানে তাদের সঙ্গে সৎ ও সহনীয় পরিবেশে কথোপকথনের সুযোগ থাকবে।
‘বেটারআপ’ প্রিন্স হ্যারিকে তাদের প্রতিষ্ঠানে যে পদে বসাতে যাচ্ছে; সেই পোস্ট করপোরেট দুনিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে খুবই কম দেখা যায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে এমন পদ রয়েছে।