মার্চ মাসে ১৬৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

জাতীয় দেশজুড়ে বাংলাদেশ

মার্চ মাসে দেশে ৪৪২ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ১৬৩ জন ধর্ষণের শিকার এবং ৭০ জন ধর্ষণচেষ্টার victim। এই তথ্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদে জানায়। মহিলা পরিষদ আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মার্চে ধর্ষণের শিকার ১২৫ শিশুসহ মোট ১৬৩ জন নারী ও শিশু। এর মধ্যে ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, ২ জন শিশু ধর্ষণের পর হত্যা এবং ২ জন শিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া, ৭০ জন ধর্ষণচেষ্টার victim হয়েছেন, এর মধ্যে ৫৫ জন শিশুও রয়েছে।

সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তারা অভিযোগ করেন যে, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার বিচারের প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, যা সমস্যার সমাধানে বাধা সৃষ্টি করছে।

এছাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল প্রসঙ্গে মহিলাদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তারা নারী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মহিলাদের মানবাধিকার রক্ষায় সাতটি সুপারিশ করা হয়, যা হলো:

১. নারীবিদ্বেষী প্রচারণা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
২. নারী ও শিশু নির্যাতনের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. মব সহিংসতার অবসান ঘটানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বিষয়ে গণমাধ্যমকে আরও সচেতন হতে হবে।
৬. মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে।
৭. সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিমালা বিরোধী অপতৎপরতা রোধ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *