দুটি বছর আগে, নিজের পছন্দের গল্পগুলো দর্শকদের সামনে আনার লক্ষ্য নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ট্রালালা মুভিং পিকচার্স, এবং ইতিমধ্যেই তারা একটি সিনেমা তৈরি করেছে। সামান্থা প্রযোজিত প্রথম সিনেমার নাম ‘শুভম’। আগামী ৯ মে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে তেলুগু ভাষার এই সিনেমাটি, এবং এর ট্রেলার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রথম সিনেমায় ভিন্ন ধরনের বিষয় উপস্থাপন করার জন্য প্রযোজক সামান্থাও প্রশংসিত হচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে বলিউড ও দক্ষিণি সিনেমায় অনেক সময় দেখা যায় উগ্র পুরুষতন্ত্রের জয়গান, তবে শুভম সিনেমাটি তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে নারীশক্তির বিষয়টি হরর ও কমেডি ঘরানায় তুলে ধরেছে, এবং পুরুষতন্ত্রকে কটাক্ষ করেছে। সিনেমাটির কাহিনি একটি উপশহরের কিছু দম্পতির গল্প নিয়ে। ট্রেলারে দেখা যায়, কিছু পুরুষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে কীভাবে তারা তাদের স্ত্রীর উপর শাসন বজায় রাখে এবং নিজেদের ‘আলফা মেল’ হিসেবে দাবি করে।
কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় যখন একটি টিভি সিরিয়াল প্রচারিত হতে শুরু করে। সেই সিরিয়ালের প্রভাব পড়তে থাকে এলাকাবাসী নারীদের ওপর, এবং তারা অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে। তারা স্বামীদের উপেক্ষা করে, এমনকি তাদের ওপর নির্যাতনও চালাতে থাকে। বিপদে পড়েন পুরুষরা, এবং তাদের উদ্ধারের জন্য সিনেমায় ‘মাতা’ নামক একটি চরিত্রের আগমন ঘটে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামান্থা।
প্রাভিন কান্দ্রেগুলা পরিচালিত ‘শুভম’ সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন হারশিত মালগিরেড্ডি, শ্রেয়া কোন্থাম, চরণ পেরি, শালিনী কোন্ডেপুদি এবং অন্যান্য। সামান্থা বলেন, ‘আমরা একটি সিনেমা তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যা দর্শকদের ভাবাবে এবং চিন্তার খোরাক দেবে। ট্রালালা মুভিং পিকচার্সের প্রথম প্রচেষ্টায় সেটা দর্শকরা পাবেন। শুভম নিয়ে আমি উত্তেজিত এবং খুব আগ্রহী এই সিনেমাটি দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করতে।’
এছাড়া, হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে যে, ‘শুভম’ ছাড়াও সামান্থার প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে ‘মা ইনতি বানগারাম’ নামের একটি নতুন সিনেমা, যেখানে প্রধান চরিত্রে থাকবেন তিনি। বর্তমানে সামান্থা রাজ ও ডিকের পরিচালনায় ‘রক্ত ব্রহ্মাণ্ড: দ্য ব্লাডি কিংডম’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন।