সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম তিন দিন কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও আজ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইনআপ। একমাত্র প্রতিরোধ গড়েছেন জাকের আলী অনিক, তবে তাঁর ৫৮ রানের ইনিংসও বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট ছিল না।
তৃতীয় দিন শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নামা জাকের ইনিংসের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। তাঁর ইনিংস বাংলাদেশের লিড বাড়াতে কিছুটা সহায়তা করলেও জিম্বাবুয়ের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করাতে পারেননি। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ১৭৪ রান। লাঞ্চের আগে এক ওভার ব্যাট করে তারা তুলেছে ৪ রান, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু হয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয় ১৯৪ রানে ৪ উইকেট থেকে। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই শান্ত পুল করতে গিয়ে আউট হন—ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ নেন নিয়াউচি। শান্ত করেন ৬০ রান, জাকেরের সঙ্গে তাঁর ৩৯ রানের জুটি ছিল ৯২ বলে।
এরপর দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করতে থাকা মিরাজ মাত্র ১৬ বলেই আউট হন—একটি চার ও ছক্কায় ১১ রান। মুজারাবানির বলে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি, যার ফলে ইনিংসে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পূর্ণ করেন মুজারাবানি।
পরের ওভারেই ফিরেন তাইজুল, রিভিউতে ধরা পড়ে তার ব্যাটে বলের ছোঁয়া। এরপর জাকেরের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন হাসান মাহমুদ, কিন্তু তিনিও ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন। এরপর খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা দ্রুত ফিরে গেলে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা জাকেরও ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। তাঁর ১১১ বলের ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ১ ছক্কা।
বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৫৫ রানে। মুজারাবানি দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২০.২ ওভারে ৭২ রানে নেন ৬ উইকেট। এটি টেস্ট ক্রিকেটে তার তৃতীয়বার ইনিংসে ৬ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি। বছরটিতে এর আগেও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য এখন জিম্বাবুয়ের জন্য স্পষ্ট পথ। তবে টেস্টের শেষ দিনে পিচ ও চাপ কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।