জুলাইয়ের অভ্যুত্থান–সংক্রান্ত মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার সিদ্ধান্তে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় বাংলাদেশ

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ছিল, সেটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই আদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।

এর আগে, গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন ডিএমপির ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান এবং এসবি প্রধানসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।

ডিএমপির পক্ষ থেকে গত ৯ এপ্রিল একটি অফিস আদেশ জারি করে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলোর এজাহারে অনেক আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ধরনের মামলায় এজাহারভুক্ত বা তদন্তে চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হলে প্রমাণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। অনুমতি এবং প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *