আইসিসির ২০২৪ সালের বর্ষসেরা পুরুষ ও টেস্ট ক্রিকেটারের খেতাব জেতার পর এবার আরও একটি সম্মান পেয়েছেন ভারতের গতিময় পেসার জসপ্রীত বুমরা। ২০২৫ সালের উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক তাকে বছরের সেরা পুরুষ ক্রিকেটার (Leading Cricketer in the World – Men’s) হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে ভারতের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা পেয়েছেন একই মর্যাদার স্বীকৃতি। উইজডেনের মতে, তিনি হয়েছেন বিশ্বের সেরা নারী ক্রিকেটার (Leading Cricketer in the World – Women’s)।
উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের কারণে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন বুমরা। উইজডেনের সম্পাদক লরেন্স বুথ বলেন, “বছরের সবচেয়ে বড় তারকা নির্বাচনে কোনো দ্বিধা ছিল না—সে এক ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। তার বিপক্ষে করা প্রতিটি রান যেন দ্বিগুণ কষ্টে এসেছে। এমন পারফরম্যান্সের পর সে নিজেই সর্বকালের সেরাদের একজন হিসেবে দাবি তুলেছে।”
২০২৪ সালে বুমরা সব মিলিয়ে ২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেন ৮৬টি উইকেট। এর মধ্যে ৭১টি উইকেট এসেছে টেস্টে, যা এক বছরে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫০ উইকেট ১৫-এর কম গড়ে নেওয়ার কৃতিত্ব এনে দেয় তাকে। এ কীর্তিতে তার পাশে আছেন শুধু সিডনি বার্নস (১৯১২) ও ইমরান খান (১৯৮২)। বুমরার সেই গড় ছিল মাত্র ১৪.৯২।
বিশ্বকাপে ১৫টি উইকেট নিয়ে ভারতকে শিরোপা এনে দেন বুমরা। বিশেষ করে ২৯ জুন বার্বাডোজে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার ডেথ ওভারের অসাধারণ বোলিং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সেই পারফরম্যান্সের জন্য বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
এদিকে, স্মৃতি মান্ধানা মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০২৪ সালে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে করেছেন ১৬৫৯ রান—এক ক্যালেন্ডার বছরে নারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তার চারটি সেঞ্চুরিও এসেছে এই সময়ে, যা আরেকটি রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টিতে বছরের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান। অন্যদিকে, উইজডেনের নির্বাচিত পাঁচ সেরা ক্রিকেটারের মধ্যে সারের তিন খেলোয়াড়—গাস অ্যাটকিনসন, জেমি স্মিথ ও ড্যান ওরাল রয়েছেন, যারা দলকে টানা তৃতীয়বার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন। হ্যাম্পশায়ারের লিয়াম ডসন এবং ইংল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার সোফি একলেস্টনও এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।
সবচেয়ে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পুরস্কার উইজডেন ট্রফি পেয়েছেন কিউই অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার। ২০২৪ সালের অক্টোবরে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে এক টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান এবং সেই সিরিজে ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করতে সাহায্য করেন—যা ছিল ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ধবলধোলাই হওয়ার ঘটনা।