নতুন হজ বিধিমালা: প্রবেশ, অনুমতি ও শাস্তির নিয়ম জানুন

আন্তর্জাতিক

সৌদি আরব সরকার হজ মৌসুমে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে মক্কায় প্রবেশে নতুন কঠোর নিয়ম চালু করেছে। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। এখন থেকে কেউ মক্কায় প্রবেশ করতে চাইলে অবশ্যই সরকার অনুমোদিত প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এই নিয়ম সৌদি নাগরিক ও প্রবাসী—উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

মক্কায় প্রবেশে অনুমতির বাধ্যবাধকতা

জননিরাপত্তা পরিদপ্তর (Public Security Directorate) জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া কেউ মক্কায় প্রবেশ করতে পারবে না। যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মক্কার পথে রওনা হবেন, তাঁদের নিরাপত্তা চৌকিতে আটকে দেওয়া হবে এবং ফেরত পাঠানো হবে।

মক্কায় প্রবেশে যেসব নথি আবশ্যক:

  • নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বৈধ কাজের পারমিট
  • মক্কায় বসবাসের প্রমাণপত্র (ইকামা)
  • সরকার অনুমোদিত হজ পারমিট

এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে হজযাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, অপ্রয়োজনীয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পুরো হজ কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা।

অনলাইনে অনুমতির আবেদন

প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য ‘আবশের ইনডিভিজুয়্যালস’ এবং ‘মুকিম’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে। আবেদনকারী সরাসরি পাসপোর্ট অফিসে না গিয়েও এসব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অনুমতিপত্র পেতে পারবেন। এটি ‘তাসরিহ’ নামক ইউনিফায়েড পারমিট সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত।

হজ পারমিট শুধু ‘নুসুক’-এর মাধ্যমে

হজ করতে হলে ‘নুসুক’ প্ল্যাটফর্ম থেকে সরকার-অনুমোদিত পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ট্যুরিস্ট বা ভিজিট ভিসায় কেউ হজ করতে পারবে না।

ভুয়া হজ ক্যাম্পেইন থেকে সতর্কতা

সরকার জনগণকে ভুয়া হজ ক্যাম্পেইন থেকে দূরে থাকতে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড সামাজিক মাধ্যমে দেখলে দ্রুত স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

‘তাসরিহ’ প্ল্যাটফর্মে পারমিট ইস্যু

সৌদি সরকারের নতুন কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম ‘তাসরিহ’ এর মাধ্যমে মক্কা ও পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশকারী হজযাত্রী, কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য ডিজিটাল পারমিট দেওয়া হচ্ছে। ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপে অনুমতির স্ট্যাটাস যাচাই করা যাবে।

ওমরাহ ভিসায় নির্দিষ্ট সময়সীমা

হজ মৌসুম শুরুর আগে ওমরাহ ভিসাধারীদের জন্য ২৯ এপ্রিল (১ জিলকদ) দেশ ত্যাগের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর সৌদি আরবে অবস্থান করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাস্তির বিধান

সময়সীমা অতিক্রম করে সৌদি আরবে অবৈধভাবে অবস্থান করলে জেল, মোটা অঙ্কের জরিমানা এবং ফেরত পাঠানোর শাস্তি দেওয়া হবে। সৌদি সরকার জানিয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারী যেকোনো ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *