নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মুর্তজা দল থেকে বাদ পড়ার পরে বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ে এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলা চলে। মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিনদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামরা।
একটা সময় ছিল যখন পেস বোলিং নিয়ে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। পেস বোলিং আক্রমণ ভালো না হওয়ায় ম্যাচ হারের আক্ষেপেও পুড়তে হয়েছে অনেক। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সে পরিস্থিতি পাল্টেছে, প্রতিনিয়ত হচ্ছে উন্নতি। যেখানে সর্বশেষ সংযোজন মাহমুদ হাসান ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা শরিফুল।
হাসান তার অভিষেক ম্যাচেই শিকার করেন তিনটি উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচেও একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। হাসানের অভিষেক নিয়ে সন্তুষ্ট অধিনায়ক তামিম। তিনি জানান, টিম ম্যানেজমেন্ট যেমন একজন পেস বোলারের খোঁজে ছিল হাসান তাদেরকে সেটাই দিতে পেরেছে।
হাসানকে নিয়ে আশাবাদী তামিম বলেন, ‘একসময় আমাদের ক্রিকেটে ভালো ফাস্ট বোলারের অভাব ছিল। কিন্তু এখন পাইপলাইনে অনেক বোলার আছে। দেখুন, এখন দুই-তিনজন ভালোমানের ফাস্ট বোলারও বসে থাকছে, একাদশে জায়গা হয় না। তারা সবাই চ্যালেঞ্জিং এবং এটা খুবই ভালো একটা দিক। হাসানের (মাহমুদ) দারুণ অভিষেক হয়েছে। আমরা যেমন- একজনকে খুঁজছিলাম, গতিতে বল করবে এবং মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিবে। আমার মনে হয় হাসান ঠিক সেই একজনই।’
দলের পেসারদের নিয়ে সন্তুষ্ট তামিম বলেন, ‘তাছাড়া রুবেলও আছে। তাসকিন খুব ভালো প্রচেষ্টা দেখিয়েছে। সত্যি বলতে, তাসকিন খুবই ভালো বোলিং করেছে গত ৬ মাস ধরে। আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে হয়তো সেরা ফাস্ট বোলার ও (তাসকিন) ছিল। ফাস্ট বোলিং ইউনিট নিয়ে আমি খুবই খুশি। কোনো অভিযোগ নেই, খুব ভালো করেছে ওরা।’
তাছাড়া প্রথম দুই ম্যাচে সাইফউদ্দিনের না খেলার ব্যাপারে তামিম জানান, ওই পেস অলরাউন্ডার শতভাগ ফিট ছিলেন না। সাইফউদ্দিন সবসময়ই একাদশের প্রথম পছন্দ বলেও জানান তামিম। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন।