কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়লেন নেইমার।

খেলাধুলা

ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে হতাশায় মুখ গোমড়া করে চুপচাপ বসে ছিলেন নেইমার। তাঁর চোখে-মুখে হতাশার স্পষ্ট ছাপ। কারণটাও স্পষ্ট—পুরোনো চোট আবার ফিরে এসেছে। যন্ত্রণায় ভেঙে পড়া এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ম্যাচের মাঝপথেই কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।

বাংলাদেশ সময় আজ সকালে অনুষ্ঠিত ব্রাজিলিয়ান সিরি ‘আ’-এর ম্যাচে সান্তোস মুখোমুখি হয়েছিল আতলেতিকো মিনেইরোর। নিজের দল সান্তোসের মাঠেই বাঁ ঊরুর পুরোনো চোটে আবার ভুগতে থাকেন নেইমার। মাত্র ৩৪ মিনিট মাঠে থাকার পরই তাঁকে বাধ্য হয়ে খেলা থেকে সরে যেতে হয়। মাঠ ছাড়ার সময় চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ক্যারিয়ারজুড়ে চোটের সঙ্গে লড়াই করে চলা নেইমারের জন্য এটি যেন আরেকটি হতাশাজনক মুহূর্ত।

নেইমারের হঠাৎ চোট পাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তা দেয় সান্তোস ক্লাব। তাঁরা এখনো কোনো বিস্তারিত তথ্য না জানালেও খেলোয়াড়ের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্লাবটির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে লেখা হয়, “রাজপুত্র, সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।” যদিও নেইমার ম্যাচের পুরোটা খেলতে পারেননি, তাঁর দল আতলেতিকো মিনেইরোকে ২-০ গোলে হারায়। সান্তোসের পক্ষে গোল দুটি করেন হোসে ইভালদো আলমিদো সিলভা ও আলভারো বারিয়েল, যথাক্রমে ম্যাচের ২৪ ও ২৭ মিনিটে।

গত দেড় বছর ধরে জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবল—দুই ক্ষেত্রেই চোটের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন নেইমার। ২০২৩ সালের আগস্টে তিনি সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সেই চুক্তি বাতিল হয়। চোটের কারণে এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন।

চুক্তি বাতিলের পর নেইমার ফেরেন নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। ১২ বছর পর ফেরা হলেও, চোট যেন তাঁর পিছু ছাড়েনি। যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। গত মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দুটি ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এই সময় কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল ২-১ ব্যবধানে জিতলেও, আর্জেন্টিনার কাছে তারা ৪-১ ব্যবধানে হেরে যায়।

বর্তমানে সান্তোস ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে সিরি ‘আ’-এর পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে। একটি জয় ও একটি ড্র করা দলটি হেরেছে দুটি ম্যাচে। তালিকার শীর্ষে থাকা ফ্ল্যামেঙ্গো চার ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্র নিয়ে ১০ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *