ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় একদল তরুণ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তাঁরা দূতাবাসের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নেন, ফলে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলের সামনের সারিতে অবস্থান নেয় পুলিশ।
সকাল থেকেই মার্কিন দূতাবাসের চারপাশে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তারা এক ধরনের মানবপ্রাচীর গড়ে রেখেছে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেককে তল্লাশি করছে। ফুটপাথ বা সড়কে কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
দুপুর ১২টার দিকে নতুনবাজার এলাকার মূল সড়কের এক পাশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। তবে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা মিছিল ঘিরে রেখেছে, এবং গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত আছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলম বলেন, “ফিলিস্তিন গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন ইসলামের পবিত্র ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এখন সময় মুসলিম উম্মাহর এক হওয়ার—জিহাদের ঘোষণা দেওয়ার। এই বিক্ষোভ সেই সংগ্রামেরই প্রথম ধাপ।”
এর আগে সকাল থেকে বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমরা কারা? তোমরা কারা? ফিলিস্তিন! ফিলিস্তিন!’—ইত্যাদি স্লোগানে গর্জে ওঠেন।