পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড-এর পর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। বিশ্বের প্রথম সারির মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট ইনফেকসাস ডিজিজ জানিয়ে দিল কোভ্যাকসিন মানবদেহের পক্ষে নিরাপদ এবং কার্যকর।
করোনা প্রতিরোধে কোভ্যাকসিন কাজ করে সার্বিকভাবে। ল্যানসেট এর এই পর্যবেক্ষণের পর ভারত বায়োটেকের গবেষক দলের প্রধান ড. সুচিত্রা এল্লা টুইট করেছেন, আশা করা যায় ল্যানসেট এর এই পর্যবেক্ষণের পর কোভ্যাকসিন নিয়ে সব অনিশ্চিয়তার অবসান হবে।
কোভিশিল্ডকে আগেই অনুমোদন দিলেও পৃথিবী বিখ্যাত মেডিকেল জার্নালটি কোভ্যাকসিন সম্পর্কে এতদিন নীরব ছিল। অভিযোগ ছিল যে, কোভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ডেটা পাবলিক ডোমেন এ প্রকাশ করা হচ্ছে না। ল্যানসেট এরপর অনুসন্ধান চালিয়ে দেখে যে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ সাময়িক অসুস্থতা অনুভব করেছে।
ল্যানসেট জানাচ্ছে, যে কোনো ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই অসুস্থতা স্বাভাবিক। ইনজেকশন এর জায়গাটি ফুলে যাওয়া, সামান্য জ্বর, বমিভাব স্বাভাবিক প্রবণতা। ল্যানসেট এর গবেষণা আরও জানিয়ে দেয় যে কোভ্যাকসিন কোভিড-সার্স এর জীবাণুকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
এরপরই ল্যানসেট কোভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়। ল্যানসেট এর অনুমোদন সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য। কারণ, এই মেডিকেল জার্নালটিকে সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা বাইবেল বলে ভেবে থাকেন।