সাভারের আমিন বাজারে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের উপকেন্দ্রে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে গ্রিডের একটি ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে তেলের ওপর আগুন ধরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কল্যাণপুর, সাভার, মিরপুর, সাভার ট্যানারি, কুর্মিটোলা, সিদ্দিকবাজারসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ট্রান্সফর্মারে থাকা তেলের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে। পানি ছাড়াও ফোম ব্যবহার করে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়।
সাভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে থাকা তেলের মধ্যে বৈদ্যুতিক স্পার্কের ফলে আগুন লাগে। তবে বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক ছালেহউদ্দীন জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বা অগ্নিকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বকর সরকার জানিয়েছেন।
গ্রিডে আগুন লাগার পর সাভার ও আশুলিয়ার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধাপে ধাপে বিকল্পভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে।
ঢাকা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ গোলাম কাউসার তালুকদার জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে গ্রিডের একটি ট্রান্সফর্মার পুড়ে গেছে। তবে গ্রিডে আরও ট্রান্সফর্মার থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, আগুন লাগার ফলে সকালে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সেগুলোর অনেকাংশেই বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বিকেলের মধ্যেই সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়ে যাবে এবং সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাবে।
