বনশ্রীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জন গ্রেপ্তার

জাতীয়

রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ব্যবসায়ী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার রাত ১১টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম আনোয়ার হোসেন (৪৩), যার মালিকানায় ‘অলংকার জুয়েলার্স’ নামে একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।

আনোয়ার হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় **আজকের পত্রিকাকে** জানান, রাতের বেলা দোকান বন্ধ করে দুইশ ভরি স্বর্ণ ও এক লাখ টাকা নিয়ে বাসার গেটে পৌঁছান। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে সাতজন দুর্বৃত্ত এসে তার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং স্বর্ণ ও টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি বনশ্রী থেকে হাসপাতালে এসেছেন এবং তার চিকিৎসা চলছে।

ওই বাসার তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) পিয়ারুল ইসলাম জানান, আনোয়ার হোসেনের চিৎকার শুনে তারা বাইরে আসার চেষ্টা করেন, তবে গুলির শব্দ শুনে কেউ সাহস পাননি। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর সবাই রাস্তায় নেমে দেখেন, আনোয়ার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন।

স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী রায়হান হোসেন জানান, প্রতিদিনের মতো সেদিনও মালিক আনোয়ার হোসেন দোকান বন্ধ করে বাসার দিকে রওনা হন। তার বের হওয়ার ১০ মিনিট পর তিনিও বের হন এবং গলির ভেতর ঢুকতেই চিৎকার শুনতে পান। এরপর দ্রুতগতিতে তিনটি মোটরসাইকেল সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন।

রায়হান আরও জানান, রাতে দোকানের সামনে সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করেননি। তবে ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনটি মোটরসাইকেলে আসা সাতজন ব্যক্তি এক বাসার সামনে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তদের একজন তাকে গুলি করে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ভুক্তভোগী সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন, আর দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এর আগে তাদের একজন আনোয়ার হোসেনের ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, ভাইরাল হওয়া ভিডিও বিশ্লেষণ করে কিছু ধারণা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদী, খুব দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *