পরিবর্তন নাকি পুনরাবৃত্তি: তৃণমূলের বার্তা কী হবে, আসছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

জাতীয় দেশজুড়ে বাংলাদেশ

বিএনপির বর্ধিত সভা: নতুন নির্দেশনার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে গঠিত নির্বাহী কমিটির প্রথম সভার দীর্ঘ সাত বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে দ্বিতীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই সভায় উপস্থিত নেই—তিনি লন্ডনে পুত্র তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেখান থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, সভার শুরুতে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হবে। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন এবং তারেক রহমান উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন।

অনুকূল পরিবেশে দীর্ঘদিন পর বড় ধরনের দলীয় আয়োজন করছে বিএনপি। মূল লক্ষ্য আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সম্ভাব্য বিজয় নিশ্চিত করা। সভায় দলীয় নেতৃত্বকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে।

দলীয় নীতিনির্ধারকদের মতে, বিএনপি ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনায় কী ধরনের পরিবর্তন আনবে, অতীতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশল পর্যালোচনা করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদা হাবিবা বলেন, “পুনরাবৃত্তি নয়, পরিবর্তন চাই। অতীতের ১৬ বছরের শাসনের পুনরাবৃত্তি যেন আর না হয়।”

বর্ধিত সভায় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা, সাংগঠনিক জেলা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এমন ব্যক্তিরাও আমন্ত্রিত।

সভাকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। আমন্ত্রিতদের জন্য খাবার, স্যানিটেশন, চিকিৎসা সুবিধাসহ তিনটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সভার শুরুতে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমাদের শেষ বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে এবং ‘আস্থা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে বিএনপি।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এই সভা রাজনৈতিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০১৮ সালে বিএনপির বর্ধিত সভা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেই পরিস্থিতি নেই, যা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে।

ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, “দীর্ঘদিন শুধু বিএনপি নয়, পুরো দেশই প্রতিকূলতার মধ্যে ছিল। এই সভার বার্তা হলো— সুদৃঢ় ঐক্যই সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারে।”

বর্ধিত সভার মঞ্চে ইতোমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন এবং আমন্ত্রিতরা নির্ধারিত আসনে বসেছেন। নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের বক্তব্যের অপেক্ষায় রয়েছেন, যেখানে তিনি বিএনপির ভবিষ্যৎ পথচলার দিকনির্দেশনা দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *