বিদ্যুতের প্রধান সরবরাহ লাইনের তার কেটে ফেলার কারণে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনায় প্রায় ৭৪ হাজার গ্রাহক টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে, তবে পরের দিন সকালে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়।
রাত দেড়টার দিকে মিঠামইন বিভাগের কারিগরি দল সমস্যার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখে, কিশোরগঞ্জ-মিঠামইন বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ঘোড়াউত্রা নদীর পশ্চিম তীরে ৩৩ কেভি সাবমেরিন কেব্ল কেটে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মূল্যবান তার চুরির উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ একটি চক্র এই কাজ করেছে, যদিও তারা তার চুরি করতে পারেনি। গত জানুয়ারিতেও একই ধরনের চুরির চেষ্টা করা হয়েছিল।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে তিন উপজেলার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, হাসপাতাল, এমনকি ইলেকট্রিক যানবাহনের চার্জিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বিশেষ করে অটোরিকশাচালকেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন, কারণ চার্জ না থাকায় তারা সড়কে নামতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কারিগরি ইউনিট বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করে। দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে মিঠামইন বিভাগীয় অফিসের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মিঠামইন বিভাগীয় অফিসের আওতায় অষ্টগ্রামে প্রায় ২৯ হাজার, মিঠামইনে ২৫ হাজার এবং ইটনায় (আংশিক) ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
মিঠামইন পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফাখরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বুধবার রাতে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সাবমেরিন কেব্ল চুরির দ্বিতীয় চেষ্টা করা হয়, যার ফলে প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরে বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়, এবং মূল লাইন স্বাভাবিক করার কাজ চলছে