পাকিস্তান থেকে সেই জাহাজে এবার এল ৬৯৯টি কনটেইনার

জাতীয়

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে আসা সেই ‘এমভি ইউয়ান শিয়াং ফা ঝাং’ জাহাজে এবার ৬৯৯টি কনটেইনার রয়েছে।

আগের বার ৩৭০টি কনটেইনার এসেছিল; এর মধ্যে ২৯৭টি কনটেইনার এসেছিল করাচি থেকে।

শনিবার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে জানিয়ে বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, রোববার বন্দরের জেটিতে ভেড়ার পর জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস শুরু হবে।

পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি এবার ৮২৫ টিইইউ (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের) নিয়ে এসেছে।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাহাজটি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে কন্টেইনার নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে এল।

দুবাইভিত্তিক কন্টেইনার জাহাজ পরিচোলনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইন ডিএমসিসি’ নতুন এ সার্ভিস চালু করেছে। বাংলাদেশের কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজেন্সা লাইন্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির স্থানীয় এজেন্ট।

রিজেন্সা লাইন্স লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুবাই এর জেবল আলী বন্দর থেকে ১২৬টি কনটেইনার এবং করাচি থেকে ৬৯৯টি কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে।”

তিনি বলেন, এবার পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, ডলোমাইট, পরিশোধিত চিনি, খনিজ পদার্থ, সোডা অ্যাশ, কাপড়ের রোল, খেজুর, লুব অয়েল, যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন পণ্য আনা হয়েছে।

এবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে করাচি হয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে জাহাজটি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে নতুন এই রুটে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনার কথা বলেছে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট।

করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি কন্টেইনারবাহী জাহাজ চলাচল প্রথমবারের মতো শুরু হয় গত নভেম্বরে। ‘এমভি ইউয়ান শিয়াং ফা ঝাং’ গত ১০ নভেম্বর করাচি থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আবার কন্টেইনার বোঝাই করে একদিন পরে জাহাজটি নতুন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।

প্রথমবার সোডিয়াম কার্বনেট বা সোডা অ্যাশ, কাঁচ তৈরির উপাদান ভাঙা কাঁচ, ডলোমাইট, চুনাপাথর, ম্যাগনেশিয়াম কার্বনেট, তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য কাপড় ও রং, গাড়ির যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ ও আলু আনা হয়েছিল করাচি থেকে।

পাকিস্তানের করাচি থেকে সরাসরি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর আসলেও সেটি যাত্রা শুরু করে আরব আমিরাতের দুবাই থেকে। চট্টগ্রাম থেকে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বেলোয়ার, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং, ভারতের মুন্দ্রা বন্দর হয়ে আবারও দুবাই যাবে।

শিপিং ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, দুবাই থেকে করাচি হয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে এবং চট্টগ্রাম থেকে অন্য তিন দেশের বন্দর হয়ে আবার দুবাই ফিরতে জাহাজটির ৩৮ থেকে ৪২ দিনের মতো সময় লাগছে।

আগে পাকিস্তান থেকে পণ্য এলেও চট্টগ্রাম বন্দরে সেসবের শতভাগ কায়িক পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা ছিল। গত ৫ অগাস্টে পট পরিবর্তনের পর অর্ন্তবর্তী সরকারের আমলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত এই পরীক্ষার শর্ত তুলে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *