কারামুক্তির পর গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবার তিনি ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হবে। দলীয় সূত্র জানায়, সমাবেশে অংশ নিতে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি এতে সায় দিয়েছেন। শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২১ ডিসেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অন্তত ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা এ সমাবেশে অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি কারা থাকবেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তাঁর সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। সেই থেকে ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। এর পরদিনই ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়। সেদিন তাঁর মুক্তির ব্যাপারে বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানেরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়া এক যুগ পর গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এখন সাত বছর পর ২১ ডিসেম্বর তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন।