ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৪ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম খালাসের এই পৃথক পৃথক আদেশ দেন। রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় দায়ের করা এসব মামলার বিচার চলছিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাদনীর আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী বলেন, এসব মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ছিল। কয়েকজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। এরপর দীর্ঘদিন সাক্ষী আদালতে হাজির হচ্ছেন না। এসব বিষয় উল্লেখ করে আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে খালাস দেওয়ার আবেদন করলে আদালত চারটি মামলায় পৃথক পৃথক আদেশে খালাস দিয়েছেন।
মামলাগুলোর সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। এদিকে একই দিনে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজিপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
খালাস পাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম মাদানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলার ঘানি টানা কষ্টকর। আমার বিরুদ্ধে মোট সাতটি মামলার মধ্যে হাসিনার পতনের পর আজ চার মামলায় খালাস পেলাম। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় তার সবগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মামলাগুলো হয়রানিমূলক।’ তিনি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।