ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের কাছে অতিরক্ষণশীল প্রার্থী সাঈদ জলিলি পরাজিত হয়েছেন। আজ শনিবার (৬ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। খবর এএফপির।
ইরানের ইলেকটোরাল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামির উদ্ধৃতি দিয়ে সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, মোট তিন কোটি ভোট গণনার পর দেখা গেছে, মাসুদ পেজেশকিয়ানের পক্ষে এক কোটি ৬০ লাখ এবং সাঈদ জলিলির পক্ষে এক কোটি ৩০ লাখ ভোট পড়েছে।
গত সপ্তাহে ইরানের আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করা হয়। এই নির্বাচনে ভোটর উপস্থিতি ছিল অনেক কম। প্রথম ধাপে ইরানের ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট প্রদানের এই হার ছিল সবচেয়ে কম।
প্রথম ধাপের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, একমাত্র সংস্কারপন্থি প্রার্থী পেজেশকিয়ান অন্য তিন রক্ষণশীল প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। সাঈদ জলিলি ছিলেন দ্বিতীয় অবস্থানে আর দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন।
এই নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। তাই নিয়ম অনুযায়ী, পেজেশকিয়ান ও জলিলির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গতকাল শুক্রবার।
৬৯ বছর বয়সী মাসুদ পেজেশকিয়ান পেশায় একজন হার্ট সার্জন। তিনি ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থি কোয়ালিশনের পাশাপাশি সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি এবং আরেক উদারপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির সমর্থন লাভ করেন।
অন্যদিকে ৫৮ বছর বয়সী সাঈদ জলিলি পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আপসহীন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি কট্টরপন্থি ইরানিদের ব্যাপক সমর্থন লাভের পাশাপাশি অন্যান্য রক্ষণশীল ব্যক্তিদের সমর্থন লাভ করেন।
ইরানে ২০২৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা থাকলেও অতিরক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেলে আগাম এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।