এশার সঙ্গে রাফসানের ডিভোর্স; এবার মুখ খুললেন জেফার

বিনোদন

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর নানা আয়োজন করে চিকিৎসক সানিয়া এশাকে বিয়ে করেছিলেন উপস্থাপক রাফসান সাবাব। এতদিন সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনো চর্চা শোনা না গেলেও তিন বছরের মাথায় ভেঙে গেল তাদের সংসার। গত ৯ নভেম্বর রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ডিভোর্সের খবর জানান রাফসান।

একই সঙ্গে গুঞ্জন উঠেছে―সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেফার রহমানের সঙ্গে প্রেম রয়েছে রাফসানের। এ কারণে ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন তিনি।

এরই মধ্যে গত ১২ নভেম্বর রাতে রাফসানের সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে কথা বলেন তার স্ত্রী সানিয়া এশা। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ‘আমি কখনোই এই বিচ্ছেদ চাইনি। এটা পারস্পরিক সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে গেছি আমার বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য।’

‘আমার স্বামী এবং আমার বিয়ে আমার প্রথম অগ্রাধিকার ছিল, আমি তার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। কিছু বড় সমস্যা ছিল, যেগুলোর জন্য আমি নিজেই হয়তো সব শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু একটা মেয়ে কখনোই চায় না তার সংসারটা ভেঙে যাক। অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমি এখন প্রকাশ করতে চাই না।’

সানিয়া এশার এমন স্ট্যাটাসের পর জেফারের সঙ্গে রাফসানের প্রেমের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। আর এ আলোচনার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জেফার। তিনি বলেন, আমি সাধারণত এসব বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এখন দেখছি রাফসানকে নিয়ে অনেক দূর গড়িয়েছে আলোচনাটা। ওর সঙ্গে সম্পর্কটা আমার শুধুই বন্ধুত্বের। এমন বন্ধু ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আছে। আমরা একসঙ্গে শো করেছি। বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি, ঘুরেছি। তবে সেটা শুধু দু’জন মিলে নয়। আমাদের সঙ্গে অন্য বন্ধুরাও ছিল।

তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা পড়বেন তাই-ই বিশ্বাস করবেন না। কেউ একজন এসে অভিযোগ তুললো কোনো প্রমাণ ছাড়াই, এর অর্থ এই নয় সেটা বিশ্বাস করতে হবে।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর রাতে এক স্ট্যাটাসে রাফসান সাবাব লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঘোষণা করতে হচ্ছে, এশার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ইতি টানতে হয়েছে। বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব সহজ ছিল না, কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পরে দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমার কাছে সেরা উপায় বলে মনে হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথ চলা এবং আমি চাই শেষটা সম্মানজনকভাবেই হোক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *