দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে এই সংলাপ।
২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম পর্বে সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও এতে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, গণফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপিসহ ১৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এলডিপি, বিজেপি এবং কল্যাণ পার্টি এই সংলাপে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত জানায়নি আরও তিনটি রাজনৈতিক দল।
বিকেল ৩টায় বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ আরও ২২টি রাজনৈতিক দলের দুইজন করে প্রতিনিধির সঙ্গে ইসির সংলাপের কথা রয়েছে। যদিও বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এই সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত বুধবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে।
দলগুলোকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানটি নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন কমিশনাররা ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আহ্বান করা ওই সভায় আপনার দলের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা আপনাদের মনোনীত দুইজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ২২টি দলকে সকাল ১০টায় এবং বিএনপিসহ ২২টি দলকে বেলা ৩টায় আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
যেসব দলকে সকালে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), তৃণমূল বিএনপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), জমিয়তে উলাময়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ),গণফ্রন্ট ও ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।
যেসব দলকে বিকেলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে : বিএনপি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাকের পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।