তহবিলের অভাব, সরবরাহ ঝুঁকি এবং চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বিশ্বের গরিব দেশগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার ‘প্রবল ঝুঁকি’রয়েছে। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে গরিব দেশগুলোর শত শত কোটি মানুষ এমনকী আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ কোভিড-১৯ এর টিকা নাও পেতে পারে। রয়টার্স।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘কোভ্যাক্স’ প্রোগ্রামের আওতায় ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের ৯১টি দরিদ্র ও মধ্যম-আয়ের দেশেকে দুইশ’কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। দেশগুলোর ২০ শতাংশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে টিকার আওতায় আনাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য। ৯১টি দেশের বেশিরভাগই আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দেশ।
ডব্লিউএইচও-র এই টিকা বিতরণ পরিকল্পনার অভ্যন্তরীন কিছু পর্যালোচনা নথি হাতে পেয়েছে রয়টার্স। আর তাতেই দেখা গেছে, তহবিলের অভাব, ঝুঁকিপূর্ণ সরবরাহ এবং জটিল ঠিকাদারী চুক্তিপত্রের কারণে এ কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।
গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স ‘জিএভিআই’ বোর্ড থেকে যে অভ্যন্তরীন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়,‘একটি সফল কোভ্যাক্স অবকাঠামো গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।’কোভ্যাক্স প্রকল্প নিয়ে যেসব প্রতিবেদন এবং নথিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে আগামী ১৫-১৭ ডিসেম্বর জিএভিআই-র বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হবে।
একটি নথিতে বলা হয়, কোভ্যাক্স প্রকল্প ব্যর্থ হলে গরিব দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ হয়ত ২০২৪ সাল পর্যন্ত টিকা পাবে না। খুব তাড়াহুড়ো করে টিকা বিতরণ পরিকল্পনা করার কারণে এটি ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।