বিএনপি শীর্ষ নেতারা একই সময়ে সিঙ্গাপুর কেন, তারা ষড়যন্ত্রের জন্য গেছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘এগুলো খামোখা কথা। তারা বয়োজ্যেষ্ঠ এবং গুরুতর অসুস্থ। তাই চিকিৎসা করাতে তারা সিঙ্গাপুর গেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মোশাররফ হোসেন, তিনি তো গুরুতর অসুস্থ হয়ে এক মাস আগে সেখানে গেছেন। আমাদের মহাসচিব মহোদয়ও নিয়মিত সিঙ্গাপুর চিকিৎসা নেন। মির্জা আব্বাসও নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তিনি চিকিৎসা নিতে সেখানে গেছেন। তাহলে ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন আসবে কেন? তাদের কী উন্নত চিকিৎসা করার অধিকার নেই?’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমরা যখন মিছিল করি, তখন আমাদেরকে প্রেরণা জোগান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা যখন স্লোগান দেই এবং যখন কারাগারে যাই, তখনও প্রেরণা জোগান কাজী নজরুল ইসলাম।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাতীয় কবির কবিতা ও গান আজও এত প্রাসঙ্গিক, আজকের দিনে অধিকার হারা, গণতন্ত্র হারা, মতপ্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতা হারা, ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে আমাদের প্রতিদিন অতিবাহিত হচ্ছে, সেখানে আমাদের কাছে উদ্দীপনা ও প্রেরণার স্থল হচ্ছে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই মহান জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবসে আমরা তাকে গভীরভাবে স্মরণ করি। আমাদের এখনও বিজয় অর্জন করতে হবে। ফ্যাসিবাদের এক দুঃসময় এবং দুঃশাসনের মধ্যে আমরা বাস করছি। এখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের একটি অন্যতম প্রেরণা হচ্ছে কাজী নজরুল ইসলাম।’
দেশের পরিস্থিতি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে রিজভী বলেন, ‘আজকে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বন্দি, তারেক রহমান দেশে আসতে পারছেন না। শুধু গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্য আজকে হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। গণতন্ত্রের পক্ষে স্লোগান ধরার জন্য আজকে তারা বন্দি, তাদের নামে মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা হচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশ তো এমন হওয়ার কথা ছিল না। জোর করে এমন করা হয়েছে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘দুঃসময় অতিক্রম করার জন্য, ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করার জন্য আজকে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান আমাদেরকে প্রেরণা জোগায়, আমাদেরকে উদ্দীপ্ত করে, আমাদের উজ্জীবিত করে। তিনি আজীবন এদেশের মানুষের কাছে সাম্যের কবি, দ্রোহের কবি একইসঙ্গে প্রেমের কবি।’