যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনকে ‘টিকিং টাইম বোমা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে দেশটিকে নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার উটাহ-তে নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহের এক প্রচারাভিযানে বাইডেন বলেন, দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে দেশটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সমস্যার মুখে পড়েছে। এটি ভালো নয়। কারণ, মন্দ লোকেরা সমস্যার মধ্যে থাকলে মন্দ কাজই করে।
গত জুন মাসে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সে সময়ই একটি রাজনৈতিক প্রচারাভিযানে বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়েছিলেন। চীন এ মন্তব্যকে উসকানিমূলক বলে অভিযোগ করেছিল।
তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, চীন সমস্যায় পড়েছে। তবে তিনি চীনকে আঘাত করতে চান না বরং দেশটির সঙ্গে যৌক্তিক সম্পর্ক চান। যদিও চীনের প্রযুক্তি খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে গত বুধবার এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন বাইডেন। এই আদেশ অনুসারে, চীনের বেশ কিছু প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন না মার্কিন ব্যবসায়ীরা। প্রযুক্তি খাতের এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেমিকন্ডাক্টর। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো, তা কার্যকর হবে আগামী বছর।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন এই আদেশের ফলে কোনো বেসরকারি মার্কিন প্রতিষ্ঠান যখন বিদেশে বিনিয়োগ করবে, তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে চীন। ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনজিউ বলেন, বেইজিং এই পদক্ষেপে হতাশ। তার মতে, চীনের ওপর নিয়মিত চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন বলেছে যে, তারা এই নতুন আদেশে উদ্বিগ্ন এবং পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে।প্রসঙ্গত, কূটনীতি, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বিভিন্ন ইস্যুতে এক দেশ আরেক দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। মূলত এই প্রবণতা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে শুরু হয়েছিল। তিনি চীনকে চাপে রাখার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।