উত্তেজনা বাড়ছে নাইজারে, লড়াইয়ের শঙ্কা

উত্তেজনা বাড়ছে নাইজারে, লড়াইয়ের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির জোট রোববার পর্যন্ত নাইজারের সেনা শাসককে সময় দিয়েছিল। সেনা সেই সময়সীমাকে গুরুত্ব দেয়নি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি নিয়ে গঠিত সংস্থা ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়াস্টার্ন আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস)। নাইজারে সদ্য গঠিত সেনা শাসককে তারা জানিয়েছিল, রোববারের মধ্যে শাসনক্ষমতা দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ফেরত দিতে হবে। নইলে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি যৌথভাবে নাইজারের সেনা শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করবে।

কিন্তু বাস্তবে নাইজারের হুন্টা সরকার সেই হুমকিতে কান দেয়নি। তারা দুইটি ঘোষণা দিয়েছে। এক, দেশের আকাশসীমা আপাতত বন্ধ রাখা হবে। বহির্শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত বলে তারা জানিয়েছে। দুই, বিদ্রোহী সেনা অফিসারদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের চিফ গার্ড।

দেশের সংবিধান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সরকারি দপ্তর থেকে সাবেক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে।

দেশের সাবেক প্রধান এখনো সেনার জিম্মায়। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি তার হাতেই পুনরায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা একত্রে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, রোববারের মধ্যে সেনা ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে তারা আক্রমণ করতে বাধ্য হবেন। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আরো একটা যুদ্ধ শুরু হবে নাইজারে?

বিশ্বের গরিবতম দেশগুলির অন্যতম নাইজার। ইসলামিক সন্ত্রাসীরা এই অঞ্চলে অত্যন্ত সক্রিয়। মনে করা হচ্ছে, সেনার যে অংশ ক্ষমতা দখল করেছে তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে।

এদিকে সেনার এই অভ্যুত্থানে রাশিয়ার প্রাইভেট সেনা ভাগনারের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতা দখলের পর নাইজারের রাস্তায় রাশিয়ার পতাকা উড়তে দেখা গেছে। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ রাস্তায় নেমে পড়েছে। সেনার সমর্থনে তারা পিপলস মিলিশিয়া গ্রুপ তৈরি করে ফেলেছে। রাস্তায় রাস্তায় তারা অস্ত্র হাতে পাহারা দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *