সিরিজ নিশ্চিত করতে আজ রোববার মাঠে নামছে টাইগাররা। প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সম্মুখে। সেই সাথে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তেও স্বাগতিকরা। সমীকরণ একটাই, জিততে হবে।
প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে সহজ সমীকরণে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে হবে। অন্যথায় বেঁচে যাবে আফগানরা, সিরিজে ফিরবে সমতা। পালাবদলের হাওয়া লাগা বাংলাদেশ দল নিশ্চয়ই তা চাইবে না। যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে চাইবে ধারাবাহিকতা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে বাংলাদেশ আগেও আলোড়ন তুলেছিল বেশ কয়েকবার। ‘বাংলাদেশী ব্র্যান্ড’ বলে একটি জোয়ার তোলার চেষ্টাও হয়েছিল একসময়। তবে ধারাবাহিকতার অভাবে সেখানে ভাটা পড়েছে দ্রুতই। তবে এবার দিন বদলেছে, সাকিবের নেতৃত্বে পুরো ভিন্ন এক ধাঁচের ক্রিকেট খেলছে। খেলছে একটা দল হয়ে, হার না মানা মানসিকতা নিয়ে।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে দিয়ে শুরু, ডেকে এনে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে দেয় তাদের; দেয় হোয়াইটওয়াশের স্বাদ। এরপর আয়ারল্যান্ড, শেষ ম্যাচটা যেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই হেরে গেলেও এর আগেই টাইগাররা সিরিজটা নিজেদের করে নেয়। এবার চলছে মিশন আফগানিস্তান। যেখানে প্রথম ম্যাচে জয় নিয়ে একধাপ এগিয়েই আছে বাংলাদেশ।
রোববার আফগানিস্তানকে হারানো গেলে এই বছর টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম জয় তুলে নিবে টাইগাররা। এক বছরে এর চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ একবারই, ২০২১ সালে। তবে সেই বছর ১১ জয়ের পাশে হার ছিল ১৬ ম্যাচে। এবার সেখানে সাত জয় হয়ে যাবে স্রেফ ৮ ম্যাচেই! যদিও ২০১৬ সালেও ৭ জয় ছিল বাংলাদেশের।প্রথম ম্যাচে খানিকটা আত্মবিশ্বাসের কমতি থাকলেও আজ বাংলাদেশ মাঠে নামবে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে, প্রথম ম্যাচে পাওয়া জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে শুরুতে দাঁড়াতে বা দিলেও ডেথ ওভারে অকাতরে রান বিলায় বোলাররা। ফলে ভালো একটা সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
দ্বিতীয় ম্যাচে ডেথ ওভার নিয়ে নিশ্চয়ই ভিন্ন একটা পরিকল্পনা থাকবে দলের। পরিকল্পনা থাকবে টপ অর্ডার নিয়েও। পুরো আফগানিস্তান সিরিজ জুড়ে বেশ ভোগাচ্ছে টপ অর্ডার। বিশেষ করে লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংস বড় করতে না পারা চাপে ফেলছে দলকে, যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে চাইবে বাংলাদেশ।