উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে, কে হচ্ছেন দুই সিটির পরবর্তী নগরপিতা।
এদিকে সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়েছে। দুই একটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়।
বরিশালে ১২৬টি ভোটকেন্দ্রের ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল পুরো নির্বাচন। এতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন।
মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)। এ ছাড়াও নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে ১১৮ জন সাধারণ এবং ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
খুলনায় ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা। নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ এবং পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
খুলনায় মেয়র পদে ৫ জন এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরই মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।