কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে হয় সে বিষয়ে তারা ভূমিকা রাখার কথা বলেছে।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচনকে ব্যাহত করে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে। যেটি ২০১৩,১৪ ও ১৫ সালে করেছে, সেই ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় এবং মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কথা বলেছে।’
আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের সম্মেলনের আগে ‘নির্বাচনী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে সাংবাদিকদেরকে জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন, সরকারের এখানে কিছুই করার নাই। আমরা আশাবাদী বিএনপিও নির্বাচনে আসবে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এরপরেও যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকার আনতে চায় তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোকাবিলা করবে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসার বিষয়ে যা বলেছে তা আমাদের জন্য হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। আমরা যেটি চাই সেটি হচ্ছে সুন্দর নির্বাচন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে সেটি বাংলাদেশে হবে। এটি বড় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে। এর অর্থ এই না আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাব। ৩০০ সিট রয়েছে, কিন্তু আমাদের দরকার ১৫০টি সিট। আমরা সব জায়গায় জিততে পারি না।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জাতিকে গাজীপুরে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখিয়েছি। আমরা ফলাফল নিয়ে বিচলিত নই।’
টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চল। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে শামস্ পরশ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সম্মেলনে অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামছুন নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় সদস্য তারানা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মামুনুর রশীদ, আহসানুল ইসলাম টিটু, হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, মো. ছানোয়ার হোসেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মমতা হেনা লাবলী প্রমুখ।