পরীমনির বিরুদ্ধে নাসিরের মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৫ জুলাই

পরীমনির বিরুদ্ধে নাসিরের মামলা: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৫ জুলাই

বিনোদন

মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে ঢাকার সাভারের বোর্ড ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত বছর ১৮ জুলাই সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। গত বছর ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই আদেশ দেন। মামলায় পরীমনি ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়।

বাদী তাঁর মামলায় উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী এবং তাঁরা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখায়।

মামলায় বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশ রুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টায় যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন তখন পরীমনি উদ্দেশ্য মূলকভাবে বাদী নাসিরকে ডাক দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমনি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন বলে বাদী মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন।

একই দিনের ঘটনায় পরীমনি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে পরীমনির করা মামলাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *