ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশটির কয়েকটি এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কায় সর্বোচ্চ-স্তরের রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমার। শনিবার এই রেড অ্যালার্ট সতর্কতা জারি করা হয়। ঘূর্ণিঝড়টি গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।
রাখাইনের সিট্যুয়ের পাশাপাশি কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেদাউং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এছাড়া এই শহর ও এলাকাগুলোতে একই সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা-বিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার।
আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইং থু খা বলেছেন, গত বুধবার থেকে তারা রাখাইনের প্রায় ১ লাখ ২ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সরবরাহ করছে। আরাকান আর্মির ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে ঝড়ের পর দুর্গত মানুষের জন্য সহায়তা প্রদান করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের আগে সিট্যুয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দা ও লেখক ওয়াই হিন অং। রাখাইনের এই শহরের জনসংখ্যা এক লাখেরও বেশি এবং মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করেছেন ওই লেখক।