কখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কখনো শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কখনো বা অন্য কোন দপ্তরের কর্মকর্তা। এভাবেই পরিচয় দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্রের মাধ্যমে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তার কাজ। মুরাদুজ্জামান মুরাদ নামে এমনই এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।
বিষয়টি জানিয়েছেন শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মুরাদ পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার দুপুরিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। পরে রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে শেরপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন জানায়, মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে সহজ-সরল বেকার চাকরি প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, সেসব চাকরি প্রার্থীদের হাতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন এ প্রতারক। ইতোমধ্যেই তিনি জেলার অসংখ্য বেকারের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করায় ভুক্তভোগীরা পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রতারক মুরাদকে আটক করতে তৎপর ছিল। এরই মধ্যে শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর এলাকার জনৈক চাকরি প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে দিয়ে দুই দফায় হাতিয়ে নেয় ৬ লাখ টাকা। ফলে প্রতারণার শিকার ওই ভুক্তভোগী শ্রীবরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
একপর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে নালিতাবাড়ীতে একইভাবে প্রতারণা করতে এলে থানা পুলিশ তাকে আটক করে ও পরে শ্রীবরদীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।