তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এটি হবে বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের ৪০০তম ম্যাচ। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। এরপর ৩৬ বছরের মাথায় নিজেদের ৪০০তম ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
৩৬ বছরে ৩৯৯টা ম্যাচে লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৩৮ জন ক্রিকেটার। এ সময় ১৪৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে ২৪৯টিতে। ড্র হয়নি কোনো ম্যাচ। তবে পরিত্যক্ত হয়েছে ৭টি। নিজেদের সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাটে মাত্র ৩৫ শতাংশ ম্যাচে জয় আছে লাল সবুজের। পরাজয়ের হার ৬২ দশমিক চার এক।
১০০তম ওয়ানডে ম্যাচটা বাংলাদেশ খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। যেখানে জিতেছিল লাল সবুজরা। ২০০তম ম্যাচেও জয় ছিল বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষ উইন্ডিজ। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তিনশতম ম্যাচটা হেরেছিল টাইগাররা।
এবার যেখানে ৪০০ এর মাইলফলক ছোঁবে বাংলাদেশ, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। পরিসংখ্যানে মেলালে, আফ্রিকানরা খুব একটা পিছিয়ে নেই টাইগারদের চেয়ে। অন্তত সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় করলে ব্যাকফুটে থাকবে তামিম বাহিনী।
এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক। অন্যরা ম্যাচ খেলার সংখ্যায় অনেক বেশি এগিয়ে থাকায় হয়তো একটা বেনিফিট অব ডাউট পেতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু ফলাফলের তারতম্যটা যে মন খারাপ করবে সমর্থকদের। ৮৭৭ ম্যাচ খেলা লঙ্কানদের জয় আছে বাংলাদেশের মোট ম্যাচের সমান, ৪০০টি। হার ৪৩৪ ম্যাচে। ৯৪২ ম্যাচ খেলা পাকিস্তান জিতেছে ৪৯৫ ম্যাচে। হারের সংখ্যাটাও চার শতাধিক। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে ভারত, ১০০৮টি। তাদের জয় ৫২৬ ম্যাচে, আর হার ৪৩২টিতে।