নারী ফুটবলারদের স্বাস্থ্যকর ন্যাপকিন দিচ্ছে ফিফা

নারী ফুটবলারদের স্বাস্থ্যকর ন্যাপকিন দিচ্ছে ফিফা

খেলাধুলা
ছেলেদের ফুটবলে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও মেয়েরা দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছে। এই তো পরশুই প্রত্যাবর্তন ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছেন সাবিনা খাতুন-সানজিদা আক্তাররা।

নারী ফুটবলে দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে খেলোয়াড়ের সঠিক পরিচর্যা, দেখভাল ও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারগুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

গত বছর ইউনিসেফ ও বাফুফের যৌথ উদ্যোগে ‘প্রতিভা অন্বেষণ’ কর্মসূচির শুরু থেকেই মেয়ে ফুটবলারদের স্বাস্থ্যকর ন্যাপকিন (রক্তস্রাবের সময় ব্যবহৃত প্যাড) দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিল আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান। এবার সেখানেও একই প্রকল্প চালু করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

গত বছর দক্ষিণ সুদান সফর করেছিলেন ফিফার মহাসচিব ফাতমা সামৌরা। তখন রজঃস্রাবকালীন নারী ফুটবলারদের দুর্ভোগের চিত্র দেখেন সেনেগালের এই সাবেক কূটনীতিক। তাঁর উদ্যোগেই দক্ষিণ সুদান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যৌথ প্রকল্প চালু করল ফিফা। এখন থেকে নারী ফুটবলারদের রজঃস্রাবকালীন পরিচ্ছন্নতা, স্যানিটারি ন্যাপকিনের সঠিক ব্যবহার ও নিজের পরিচর্যা সম্পর্কে শেখানো হবে। এরই মধ্যে ফুটবলারদের বিনা মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করতে শুরু করেছে ফিফা।

ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানে ৭০ শতাংশ নারী ফুটবলার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পুনের মতো পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী হাতের কাছে পায় না। এতে করে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও ফুটবল চর্চায় তারা নিয়মিত উপস্থিত থাকতে পারে না। 

ফিফার এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ে নারী খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বাড়ানো এবং সঠিক স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুদানের কোচ শিলিন বুইসেন বলেছেন, ‘রক্তস্রাব পরিচ্ছন্নতা নিয়ে এখানে ফিফার প্রকল্প সত্যিই অভাবনীয়। তাদের এমন উদ্যোগ সম্ভবত এটিই প্রথম। প্রকল্পটি মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে। এটি তাদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো।’

প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলায় খুশি ফিফার নারী ফুটবল উন্নয়নের প্রধান আরিজানা ডেমিরোভিক। তিনি বলেছেন, ‘দক্ষিণ সুদানের নারী ফুটবলে যেন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে, আমরা সেটি নিশ্চিত করেছি। এই প্রকল্পে আরও সাফল্য আসবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *