ক্রিকেট ম্যাচে দুই দলের লড়াই হয়। ম্যাচে সবাইকে ছাপিয়ে কখনো কখনো একজন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স সর্বত্র প্রশংসিত হয়। ব্যবধান গড়ে দেয় দুই দলের মাঝে, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। আর তাকেই বলা হয় ‘গেম চেঞ্জার’।
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অর্জন পদ্মা সেতু। গতকাল স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, পদ্মা সেতু হবে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’। যোগাযোগ, অর্থনীতি, খেলাধুলা—সবকিছুতেই উন্নয়নের, পরিবর্তনের রূপকার হবে প্রমত্তা পদ্মাকে শাসন করে মাথা তুলে দাঁড়ানো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এই সেতু।
গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বিসিবি আয়োজিত অনুষ্ঠানের পর নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘আমি বলতে চাইছি, এটা যোগাযোগ বলেন, অর্থনীতি বলেন, খেলাধুলা বলেন-সমস্ত কিছুতে প্রভাব ফেলবে। পুরো গেম চেঞ্জার যাকে বলে, এটা পুরো গেম চেঞ্জার। অবশ্যই ক্রিকেটের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। আমরা ওই অঞ্চলের প্রতি আরও মনোযোগ দিতে পারবো।’
বাংলাদেশের মানুষের পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিসিবির সভাপতি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় বাস্তবে রূপ নিয়েছে এই সেতু। গতকাল তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন তো পৃথিবীর সব মানুষেরই থাকে, কিন্তু আমরা এই স্বপ্ন দেখে কিন্তু ঘুমিয়ে যাইনি। কিছু স্বপ্ন আছে, যেটা বাস্তবায়নের জন্য মানুষ ঘুমাতেও পারে না। সারা দিন-রাত এটা নিয়ে চিন্তা করে। এই সমস্ত স্বপ্ন সবাই দেখতে পারে না।’
প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতার কথা উল্লেখ করে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘এটার জন্য যে সাহস, মানসিকতা দরকার, তা সবার থাকে না। এ ধরনেরই একটা স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেটা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বপ্ন দেখেছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমের মানুষের মুক্তির সংগ্রাম।’
গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে সকাল ৯টা থেকেই বোর্ড পরিচালক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা হাজির হয়েছিলেন। মাঠেই প্রজেক্টরে দেখানো হয়েছে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেটার, বিসিবির পরিচালকদের নিয়ে বিশাল কেক কেটেছেন বিসিবির সভাপতি। দোয়া মাহফিল হয়েছে, গরিব ও এতিম শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে বিসিবি।
অনুষ্ঠানে বিসিবির পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, ফাহিম সিনহা, ওবেদ রশীদ নিজামসহ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন উপস্হিত ছিলেন।