সম্প্রতি মানবাধিকার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। যা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে এমন অনেক উৎস থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে, যাদের পলিটিক্যাল এজেন্ডা রয়েছে। আমরা আশা করবো, যাদের কাছ থেকে তারা তথ্য নিচ্ছে, তাদের নিকট থেকে তারা আরো বিস্তারিত জেনে নেবে। নিকট অতীতে তারা কী করেছে, সেটা জানা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালে আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭৫টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ৬০৬টি। তাই মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইবো। তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, র্যাব এখন একটি ব্র্যান্ড নেম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসী প্রতিরোধে ভূমিকা রেখেছে।
২০২১ সালের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের চিত্র তুলে ধরে এ প্রতিবেদন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।