দলীয় সংগ্রহ শতকের কোঠা ছুঁতে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েছিল ইংলিশ নারীরা। তবে ২০ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফের বিপদে পড়ে তারা। নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে থাকা ইংল্যান্ড ১৯৬ রানে হারায় ৯ উইকেট। জয়ের আভাস পাচ্ছিল কিউইরা। তবে দশম ব্যাটারের দৃঢ়তায় জয় হাতছাড়া হয় নিউজিল্যান্ডের। ১ উইকেটের জয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আসা টিকে রইল ইংল্যান্ডের।
টসে হেরে আগে ব্যাট করে সোফি ডিভাইন ও ম্যাডি গ্রিনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ২০৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে রোমাঞ্চ জাগিয়ে ১৬ বল হাতে রেখে ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে হিদার নাইটের দল।ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় কিউইরা।
দলীয় ৬১ রানের মাথায় সুজি ব্যাট এর উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর অধিনায়ক সোফি ডিভাইন হাল ধরলে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে কিউইরা। অধিনায়কের বিদায়ের পর ম্যাডি গ্রিনের ব্যাট থেকে আসে ধীর গতির অর্ধশতক। ৭৫ বলে ৫২ করে গ্রিন ফিরলে হাল ধরতে পারেনি কিউইদের কোনো ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৫ ওভারে ২০৩ রান করে থামে নিউজিল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন কাটে ক্রোস ও সোফি একলেস্টোন।
জবাবে ১৭ রানের মাথায় ড্যানি ওয়াটের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর অধিনায়ক হিদার নাইট ম্যাচের হাল ধরেন। ৫৩ বলে ৪২ রান করে অধিনায়ক ফিরলেও ন্যাট সাইভারের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ছিল ইংলিশরা।
১০৮ বলে ৬১ করে ন্যাট সাইভার ফিরলে চাপে পরে ইংল্যান্ড। শেষে দিকে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে রোমাঞ্চ জাগায় কিউইরা। তবে অ্যানিয়া শারুবসোলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্ধরে নোঙ্গর ভিড়ায় নাইটের দল। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান ফ্রান্সিস ম্যাকে।
এ জয়ে ৬ ম্যাচে ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট তুলে সেমির রেস থেকে ছিটকে গেল কিউইরা। বিপরীতে এক ম্যাচ কম খেলে সমান ৪ পয়েন্ট তুলে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ইংলিশরা।