করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু নয় লাখ ছাড়িয়েছে। মাত্র দুই মাস আগেই দেশটিতে করোনায় মৃত্যু ছিল আট লাখ।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নতুন এ দুঃখজনক মাইলফলকে পৌঁছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটিতে করোনা টিকা প্রদানের ১৩ মাস হয়েছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের শতভাগ এখনো টিকা গ্রহণ করেননি, যদিও এটা প্রমাণিত যে, করোনার টিকা নিরাপদ এবং জীবন বাঁচাতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন ড. আশিস কে ঝা বলেন, ‘এটি অত্যন্ত বড় একটি সংখ্যা।’
তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে যদি আপনি অধিকাংশ মার্কিনিকে বলতেন যে, পরের কয়েক বছরের মধ্যে মহামারি ৯ লাখ মার্কিনির প্রাণ কেড়ে নেবে, তাহলে হয়তো অনেকেই এটা বিশ্বাস করতেন না।’
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই কমছে ওমিক্রণ সংক্রমণের জোর। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৯টিতেই ওমিক্রন সংক্রমণ কমে আসছে।
কিন্তু গড় মৃত্যু এখনও বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার ৪০০ জনের প্রাণ কেড়ে নেয় করোনা, যা গত শীতের পর সর্বোচ্চ।
বিশ্বের যে কোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রাণহানী হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এটা মনে করা হয় যে, সরকারিভাবে উল্লেখিত এ সংখ্যার চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গণস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ড. জসুয়া এম সারফস্টেইন বলেন, ‘আমরা আমাদের শত্রুকে (করোনা) হালকাভাবে নিয়েছিলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সূত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ২১ কোটি ২০ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন, যা মোট দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ।
২০২০ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা টিকা প্রদান শুরু হয়। তখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৩ লাখ মানুষের।
২০২১ সালের মধ্য জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু ৬ লাখে পৌঁছায়। ওই বছরের অক্টোবরে মৃতের সংখ্যা ৭ লাখ স্পর্শ করে।