অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০১০-১১ মৌসুমের পর আর অ্যাশেজ জেতেনি ইংল্যান্ড। শেষবার বল হাতে ইংলিশদের নায়ক ছিলেন জিমি অ্যান্ডারসন। আজ ব্রিসবেন গ্যাবায় শুরু হয়েছে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। অ্যান্ডারসনকে ১২ জনের স্কোয়াডেও রাখেনি ইংল্যান্ড। ৩৯ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না দল। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার জানান, সর্তকতা হিসেবে অ্যান্ডারসনকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) মুখপাত্র বলেন, ‘জিমি খেলার জন্য ফিট। তার কোনো চোট সমস্যা নেই। ছয় সপ্তাহে আমাদের পাঁচটি টেস্ট খেলতে হবে। তাকে অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য তৈরি করা হচ্ছে।’ অ্যান্ডারসন না থাকায় ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন আরেক অভিজ্ঞ ডানহাতি পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। তার সঙ্গে হবেন ক্রিস ওকস।
১২ জনের স্কোয়াডে ফিরেছেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকসও। ইংল্যান্ডের মাটিতে গত অ্যাশেজে ইনজুরিতে পড়েন ৬৩২ টেস্ট উইকেটধারী অ্যান্ডারসন। তাকে একাদশে রেখেই এজবাস্টনে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে ইংল্যান্ড। কিন্তু ৪ ওভার বল করার পর মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় অ্যান্ডারসনকে। ছিটকে যান সিরিজ থেকেই। অ্যান্ডারসনহীন ইংল্যান্ড ২-২ সমতায় ভাগাভাগি করে সিরিজ।
তবে নিয়মানুযায়ী আগের সিরিজ জেতায় ট্রফিটা থেকে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ২০১০-১১ মৌসুমের পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে অ্যাশেজ খোয়ায়নি অজিরা। সেবার অস্ট্রেলিয়ায় ৩-১তে জিতেছিল ইংল্যান্ড। ২৬.০৪ গড়ে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট নেন অ্যান্ডারসন। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৭-১৮ অ্যাশেজে ইংল্যান্ড ৪-০তে হারলেও উজ্জ্বল ছিলেন তিনি।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নেন এই পেসার। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ৩৫.৪৩ গড়ে ৬০ উইকেট শিকার অ্যান্ডারসনের। তবে ব্রিসবেন গ্যাবায় রেকর্ড মোটেও ভালো নয় ‘সুইং’ মাস্টারের। ৪ ম্যাচে পেয়েছে সাকুল্যে ৭ উইকেট।