পকেট ভরার জন্য অসংখ্য কাজ করতে চাই না -শুভ

পকেট ভরার জন্য অসংখ্য কাজ করতে চাই না -শুভ

বিনোদন
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে তার বহুল আলোচিত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। মুক্তি তো হলো ছবি। কেমন লাগছে? আরিফিন শুভ বলেন, এখন অনুভূতিটা মিশ্র। আনন্দিত এবং খানিকটা নার্ভাসও। করোনায় বন্ধ হয়েছে এমন ২০টির মতো হল ‘মিশন এক্সট্রিম’ প্রদর্শণের জন্য ফের চালু করেছেন হল মালিকরা।

বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এ নায়ক বলেন, বিষয়টি খুবই আনন্দের। আবার দুঃখেরও। কারণ আমাদের আগের ছবি ‘ঢাকা আ্যাটাক’ অনেক হলে মুক্তি পেয়েছিল। ঘটনাচক্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষনের কথা মনে পড়ছে, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।

আমাদের যা আছে সেটা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। যেটুকু আছে সেটা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। থমকে থাকতে চাই না। আমরা যোদ্ধা জাতি। যুদ্ধ করতে জানি। ‘মিশন এক্সট্রিম’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন? শুভ বলেন, এই মূহুর্ত পর্যন্তু আমার ক্যারিয়ারের সব থেকে শারীরিক এবং মানসিক কষ্টের কাজ হচ্ছে ‘মিশন এক্সট্রিম’।

যেখানে একটা ছবি চাইলে এক মাসেও শেষ করা যায়। সেখানে আমরা দেড় বছর কাজ করেছি এই ছবির। যতটুকু কাজ করেছি সততার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছি। অনেক বিসর্জন দিয়েছি।

যে পরিশ্রম আমি করেছি ‘মিশন এক্সট্রিম’র জন্য তা বলে বোঝানো সম্ভব না। এই পরিশ্রম না করলে কি মিশন এক্সট্রিম হতো না! হতো। পরিশ্রম করেছি শুধু দর্শকদের জন্য। তাই প্রত্যাশা এতটুকুই দর্শক যাতে হলে এসে সিনেমাটা দেখে। দর্শকদের কেন হলে আসা উচিত এই সিনেমাটা দেখতে? আরিফিন শুভ বলেন, আপনি যদি বাংলাদেশি হন মিশন এক্সট্রিম দেখবেন।

কারণ এটা দেশপ্রেমের গল্প। দর্শকরা আগে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখেছেন। ভালোবাসা দিয়েছেন। আমরা দর্শকদের ঠকাইনি, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে হলে আনার চেষ্টা করিনি। মুখের কথায় দর্শকদের হলে আনার দিন চলে গেছে।

এখন কিছু করতে হবে। আমরা চেষ্টাটা সর্বোচ্চটুকু দিয়েই করেছি। বছরে দু-একটি সিনেমা করেন। এতো কম সংখ্যক কাজ করার কারণ কী? এ নায়কের উত্তর- নিজের পকেট ভরার জন্য অসংখ্য কাজ করতে চাই না। অনেক কাজ করে ইন্ডাস্ট্রির লাভ হবে না। আমার লাভ হবে শুধু। ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার শুটিংও চলছে। প্রচারণায় সময় দিতে পারছেন কী? আরিফিন শুভ বলেন, অনেক কষ্ট করে দুই দিন ছুটি নিয়েছি।

শোয়ে উপস্থিত থাকার জন্য। ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং কেমন চলছে? শুভ বলেন, হাড়ভাঙা পরিশ্রম চলছে। সকাল থেকে রাত। ‘মিশন এক্সট্রিম’-এ ছিলাম ৮২ কেজি। এখন ৯৫ কেজি। সিক্সপেক বলে যে জিনিসটা সেটা আমার জন্য অতীত। আবার যেদিন আরেকটা চরিত্র পাবো আবার হবে। কিন্তু এই মূহুর্তে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র করছি। তার মতো করেই শারীরিক গঠন করার চেষ্টা করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *