মেম্ফিস ডিপে আর ফিলিপে কৌতিনহোর শেষ মুহূর্তের গোলে এই মৌসুমে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বার্সেলোনা। শুধু তাই নয়, ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে পাওয়া ৩-১ ব্যবধানের এই জয়টাই প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম জয় কাতালান ক্লাবটির।
জয় পেলেও খেলায় ছন্দ ছিল না বার্সেলোনার। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে তিনটি ও পরের আট মিনিটে আরেকটি নিশ্চিত সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় স্কোরবোর্ডে নাম লেখাতে ব্যর্থ হয়ে দলটির স্ট্রাইকাররা।
এদিকে স্বাগতিক ভিয়ারিয়াল ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত। তবে সামনে ফাঁকা জাল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাও তরেস। ৩৯তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে দানজুমার শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ফলে গোলশূন্য সমতায় বাজে প্রথমার্ধের বাঁশি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। মেম্ফিস ডিপের শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর তা ফাঁকায় পেয়ে টোকায় বাকি কাজ সারেন ডি ইয়ং। তবে ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে বার্সা ডিফেন্ডারদের ভুলে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল। দলকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ার উইঙ্গার স্যামুয়েল।
এরপর ভালো ফুটবল খেলে কাতালান ক্লাবটিকে চাপে রাখে ভিয়ারিয়াল। তবে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে ভিয়ারিয়াল। ডিফেন্ডারের ব্যাকপাস গোলরক্ষক পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই তা পেয়ে যান ডিপে। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি এই ডাচ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের শেষের দিকে ভিয়ারিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ফিলিপে কৌতিনহো। প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। সেখান থেকেই ব্যবধান ৩-১ এ নিয়ে যান ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলার।
লা লিগায় ১৪ ম্যাচে বার্সেলোনার এটি মাত্র ষষ্ঠ জয়, সঙ্গে পাঁচ ড্র। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে রয়েছে ভিয়ারিয়াল। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে যথারীতি রিয়াল মাদ্রিদ। আর তালিকার দুই নম্বরে রিয়াল সোসিয়েদাদ।