আবরার হত্যা মামলার ২২ আসামি আদালতে

আবরার হত্যা মামলার ২২ আসামি আদালতে

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার পর কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদেরকে আদালতে হাজতখানায় রাখা হয়।

এ মামলায় ২৫ আসামির মধ্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তফা রাফিদ।

দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করতে পারেন।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষ হলে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তী সময়ে জানা যায়, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে।

আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

একই বছরের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আটজন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

গত ১৪ মার্চ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় শুনানি করতে পারেনি। এরপর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় কিছু ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় চার্জ গঠনের আবেদন করে। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জ গঠন করেন। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামি আবারও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

Visits: 40

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *