গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক বৃদ্ধ বাবা। তিনি জানান, ছেলের লাগাতার নির্যাতন ও পরিবারের সম্পদ নষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে এই চরম সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের নানাইয়া গ্রামের আটিপাড়া এলাকায় ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
নিহত আনোয়ার হোসেন (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বাবা মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, আনোয়ার মাদকের জন্য বাড়ির সাতটি গরু, পুকুরের মাছ ও গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ছেলের হাতে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতে হতো তাঁকে। সর্বশেষ মঙ্গলবার আনোয়ার গরুকে মারধর করলে বাধা দিতে গিয়ে বাবাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এরপরই রাতের গভীরে ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো বঁটি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন মোহাম্মদ আলী।
বুধবার ভোরে থানায় এসে নিজেই হত্যার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা হত্যায় ব্যবহৃত বঁটিও জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আনোয়ারকে মাদক থেকে ফেরাতে বহু চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ আলী। তাঁকে বিদেশেও পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু কোনোভাবেই নেশার জীবন থেকে ছেলেকে ফেরানো সম্ভব হয়নি।
ওসি জানান, অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।