তবুও বাংলাদেশ নিজেদের করে নিতে পারেনি সকালটা।

Uncategorized

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক আগেই হয়ে গেলেও টেস্টের স্বাদ এখনো মেলেনি তানজিম হাসান সাকিবের। অবশেষে আজ চট্টগ্রামে স্বপ্নপূরণ হলো তাঁর—জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হলো তাঁর। আর অভিষেকেই তুলে নিলেন প্রথম উইকেট।

চট্টগ্রামে সিরিজে টিকে থাকতে আজকের টেস্টে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে আজ মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা। বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তিন স্পিনার নিয়ে খেলার কৌশল নিয়েছে তারা। প্রথম সেশন শেষে ২৮ ওভারে ২ উইকেটে ৮৯ রান তুলে মধ্যাহ্নভোজে গেছে সফরকারীরা। যদিও সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে সকালটা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে পারত।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। শুরুতে দুই ওপেনার বেন কারেন ও ব্রায়ান বেনেট কিছুটা ওয়ানডে ঘরানায় ব্যাট করতে থাকেন। ওভারপ্রতি প্রায় ৪ রান করে এগোতে থাকে দলটি। যদিও অষ্টম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কারেনের ক্যাচ মিস করেন স্লিপে থাকা সাদমান ইসলাম, যা বাংলাদেশের জন্য হতাশার মুহূর্ত হয়ে দাঁড়ায়।

তবে ক্যাচ মিসের হতাশা বেশিক্ষণ টিকেনি। দলীয় ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তানজিম সাকিবের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন বেনেট। ৩৩ বলে ৫টি চারে ২১ রান করেন তিনি।

তানজিমের উইকেট পাওয়ার পরই বাংলাদেশ নষ্ট করে ফেলে একটি রিভিউ। ১৪তম ওভারে নিকোলাস ওয়েলচের বিপক্ষে ক্যাচের আবেদন করে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল আঘাত করেছে ওয়েলচের বাঁহাতের বাহুতে, এলবিডব্লিউর ক্ষেত্রেও ইমপ্যাক্ট ছিল লাইনের বাইরে।

রিভিউ হারানোর পর কিছুটা পাল্টা আক্রমণে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৫ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে ২৫ রান যোগ করে তারা। ১৭তম ওভারে তানজিম দেন ১২ রান, যেখানে ওয়েলচ একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। তবে এই গতি ধরে রাখতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ১৯তম ওভারে তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বলে বোল্ড হয়ে যান কারেন। এরপর শন উইলিয়ামস মাঠে নেমে ওয়েলচের সঙ্গে সতর্কভাবে ইনিংস মেরামত করেন।

মধ্যাহ্নভোজের সময় উইলিয়ামস ৩৪ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন, আর ওয়েলচ ৩২ রানে ব্যাট করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *