কুয়েট শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে তাদের ভুল আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে।

দেশজুড়ে বাংলাদেশ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘটিত সহিংসতা ও সংঘর্ষের পর শিক্ষকেরা শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত হন এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে, যাতে ১৬টি বিভাগের ছাত্র প্রতিনিধির স্বাক্ষর রয়েছে।

চিঠিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, “আমরা আপনাদের সন্তানতুল্য, কোনো আচরণে যদি অসম্মান হয়ে থাকে, তবে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য, আপনার প্রতিটি কথা আমাদের জীবনের পথনির্দেশক। আমরা আশা করি, আপনারা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করবেন।”

চিঠিতে শিক্ষার্থীরা আরও উল্লেখ করেছেন, “১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় কুয়েট ছাত্রদল ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছিলেন, যা দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষককে আহত করেছে। এই হামলার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কিছু মহল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিরোধিতা ছড়িয়ে দিতে চায়, যদিও এই আন্দোলন কখনো শিক্ষাবিরোধী ছিল না, বরং সন্ত্রাসবিরোধী, দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ গড়ার উদ্দেশ্যে ছিল।”

তারা আরও বলেন, “এ আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। তবে, আন্দোলনের সময় যদি কোনো শিক্ষকের অনুভূতিতে আঘাত পৌঁছায়, তাহলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *